‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে ছাত্র নিহতের ঘটনা মন্ত্রিপরিষদে

‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে কিশোর ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত নিহত হবার ঘটনা নিয়ে আজ মন্ত্রিপরিষদে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে কিশোর আলো পত্রিকার অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ছাত্রের অসহায়ভাবে মৃত্যুর ঘটনা মন্ত্রিপরিষদে অনির্ধারিত আলোচনায় কয়েকজন উপস্থাপন করলে সবাই এ বিষয়ে উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো হলো- স্কুলে যখন কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়, তখন সেখানে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল কি না।
কারণ, রেসিডেন্সিয়াল মডেলের ছাত্র আবরার অনুষ্ঠানের জন্য টানানো বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এখানে কি গাফিলতি ছিল, সেটি একটি বিষয়। দ্বিতীয়তঃ একজন ছাত্র মারা গেছে তবুও অনুষ্ঠানটা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রাহাতকে কাছের হাসপাতালে না নিয়ে দূরবর্তী হাসপাতালে নেয়া হলো কেন? চতুর্থত সেই ছাত্র মারা যাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালে যখন তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার পকেটে যখন রেসিডেন্সিয়াল মডেলের মনোগ্রাম দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্কুল বা কলেজের সাথে যোগাযোগ করে। আর আপনারা জানেন, কারো যদি এভাবে অপমৃত্যু হয়, তাহলে সেই লাশের অবশ্যই পোস্টমর্টেম করতে হয়। পোস্টমর্টেম না হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমোদন লাগে।
সেটি না নিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশটি দাফন করা হয়েছিল। এই বিষয়গুলো সেখানে আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ গৃহীত হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত হবে, তদন্ত হয়ে কাদের গাফিলতি ছিল, কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে এবং কেন একজন ছাত্র মৃত্যুবরণ করার পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হলো, সেই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন এজন্য আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।