কিশোরগঞ্জে রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা রেলপথমন্ত্রীর

ঢাকা, ১০ কার্তিক (২৬ অক্টোবর): রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের মৃত্যুর বিনিময় কখনোই পূরণ হবার নয় এবং এটা পূরণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। তারপরও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত্যু ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যয় মন্ত্রণালয় থেকে বহন করা হবে এবং যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ রেল ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব বাজার স্টেশনে লুপলাইন অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধু ট্রেনের পিছনের তিনটি বগিকে আঘাত করে এবং একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে ঘটনাস্থলে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও অনেকে মারা যায়, আজও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে এবং এ পর্যন্ত মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ভৈরব থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী আহত ৩৫ জনের মধ্যে ভৈরব থানা কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়, তাদের মধ্যে ১জন ঢাকা মেডিকেলে, ৬ জন পঙ্গু হাসপাতালে, ১জন রেলওয়ে হাসপাতালে এবং ১জন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজখবর নেন এবং প্রত্যেক রোগীকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী দুর্ঘটনার সময় First Asia Pacific rail summit এ অংশগ্রহণ করার জন্য মালয়েশিয়াতে ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণে সেমিনার সংক্ষিপ্ত করে তিনি ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে চলে আসে।