কালিয়াকৈরে মসজিদের জমি দখলের পায়তারা,গ্রামে ক্ষোভ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গাছ কেটে ও ইট-বালু ফেলে একটি মসজিদের জমি দখলের পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান এলাকায় মাঝুখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন আগে হলেও গত কয়েক বছর আগে পূর্ণ-নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, ওই মসজিদের ১৫ সতাংশ জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৮ সতাংশ জমির উপর মসজিদটি পূর্ণ-নির্মাণ করা হলেও বাকী ৭ সতাংশ জমি রয়েছে খালি। মসজিদের সামনে ওই খালি জায়গায় আম, কাঁঠাল, বাগানসহ বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে। ওই খালি জায়গায় মসজিদের পক্ষ থেকে মাটিও ফেলে সমান করে রাখা হয়। কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল করিমের তিন ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ লিটন, আরিফ সরকার ও ফরিদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি নিজেদের দাবি করে তা দখলে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত তিন দিন আগে ওই খালি জায়গার ২টি গাছ কেটে ফেললে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় ওই এলাকার মুসল্লীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ছানোয়ার হোসেন, আইয়ুব আলী, জালাল উদ্দিন, মফিজ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুইনা আইতাছি, ওই জমিটি মসজিদের। মসজিদের পক্ষ থেকে সেখানে মাটিও ফেলা হয়েছে। হঠাৎ করেই শুনছি, লিটন গং তাদের দাবি করে গাছ কেটে ফেলেছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সেখানে ইট, বালিও ফেলেছে তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে ফিরোজ আহম্মেদ লিটন জানান, মসজিদের জমিটা আমার বাবা ওয়াকফা করে দিয়েছে। তার সামনের জমিটাও আমাদের। এটা ৩২ বছর আগে আমাদের কেনা। কিন্তু ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ষড়যন্ত্র করে ওই জমিতে রাতের আধারে মাটি ফেলেছে।
তাই সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন জানান, ওই জমি মসজিদের। মসজিদের পক্ষ থেকে ভরাটও করা হয়েছে। কিন্তু লিটন গং গাছ কেটে ওই জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ইউএনও ও ফাঁড়ি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম জানান, গাছ কেটে মসজিদের জমি দখল করা হচ্ছে এলাকাবাসীর এমন খবরে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই লোকজন চলে যায়। এছাড়া স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে। যার কারণে এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। মোঃ শাহ আলম সিকদার, তাারিখ-