প্রধান মেনু

কালিয়াকৈরে দৃর্বৃত্তরা মসজিদে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ৬০টি কোরআনশরীফ ও নামাজ পড়ার কার্পেট

কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি ॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চান্দাবহ এলাকার দুর্বৃত্তরা উত্তর পাকুল্লার একটি মসজিদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে নামাজ পড়ার কার্পেটসহ ৬০টি কোরআনশরীফ । মসজিদের একটি সেল্ফে রাখা ৬০টি কোরআনশরীফ আগুনে পুড়ে ভষ্মিভুত হয়েছে।

মসজিদের মুসুল্লী মোঃ ইব্রাহীম জানায় বুধবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে এসে দেখতে পান মসজিদের ভিতরে সেল্ফে রাখা কোরআনশরীফ আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য পেতে রাখা কার্পেট আগুনে পুড়ছে।

পরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে আসা সকল মুসুল্লীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে কারা মসজিদে আগুন দিতে পারে এবিষয়ে কেউ কোন প্রকার তথ্য দিতে পারেনি। মসজিদ নির্মান নিয়ে কারও সাথে কোন প্রকার বিরোধ আছে কিনা সে বিষয়ে মুসুল্লীরা জানায় মসজিদ নিয়ে সমাজ বা এলাকার কোন লোকের সাথে কোন প্রকার বিরোধ নেই। মসজিদের কেচি গেইটে তালা ঝুলানো ছিল। মসজিদের ঈমাম কয়েক দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেছেন।

দুর্বৃত্তরা মসজিদের উত্তরপাশে একটি জানালা খোলা পেয়ে ওই জানালা দিয়ে বাইরে থেকে মসজিদের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আগুনে মসজিদের কার্পেটসহ ৬০টি কোর আনশরীফ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেল্ফে লাগানো সকল টাইলস আগুনের তাপে খোলে পড়ে।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি ও ওসি সরেজমিনে ওই মসজিদে গিয়ে আগুন লাগার বিষয়টি পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান বিষয়টি একটি স্পর্শকাতর। কারা এঘটনা ঘটিয়েছে এলাকাবাসী এবিষয়ে কোন তথ্যই দিতে পারেনি। তবে এবিষয়টি নিয়ে এলাকায় যেন কোন প্রকার উম্মেদনার সৃষ্টি হয় নায় সেই দিকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসিকে তদন্তের দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা একাজের সাথে জড়িত অচিরেই হয়তো খোজে বেড় করা সম্ভব হবে। নামাজ পড়ার যে ম্যাট আগুনে পুড়ে গেছে প্রশাসনে পক্ষ থেকে ম্যাট ও কোরআনশরীফ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায় মসজিদ কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে । বিষয়টি খুব দ্রুত তদন্ত করে দুষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।