কানাডায় ৭১’এর গণহত্যার স্বীকৃতি ও প্রদর্শন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

অটোয়া, (কানাডা) ২৩ সেপ্টেম্বর : গতকাল কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এবং কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডা (CRRIC)- এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস) ‘Denial and Recognize: The Case of Bangladesh Genocide’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে। কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান, কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. এডাম মূলার, কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের কিউরেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. জেরেমি ম্যারন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর শেখ হাফিজুর রহমান, Rotary Peacedays-এর প্রতিনিধি Gary Senft, বিংহামটন-এর স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের ভিজিটিং স্কলার ড. তাওহীদ রেজা নূর এবং CRRIC-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. হেলাল মহিউদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং একটি জাতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘঠিত এই সহিংসতার ব্যাপকতা এবং মাত্রার কারণে এর বৃহত্তর স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একাত্তরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও আমাদের জাতির সম্মিলিত স্মৃতিতে প্রোথিত এবং এর প্রভাব একটি প্রজন্মকে আঘাত করেছে।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অতীতের গণহত্যাকে অস্বীকার করলে তা ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তিতে ইন্ধন যোগায়। তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসকে দ্রুত ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ গ্যালারি উন্মুক্ত করতে অনুরোধ করেন।