প্রধান মেনু

করোনা মহামারি বিশ্বকে ডিজিটাল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়েছে—টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা,  ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্যমান ডিসরাপটিং উদ্ভাবন ইতিমধ্যে শারীরিক, ডিজিটাল এবং জৈবিক বিশ্বের মধ্যকার সীমারেখা পাল্টে দিয়েছে। ৫জি ইন্টারনেট, ইন্টারনেট অভ্‌ থিংস, বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমস, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি- প্রিন্টিং, ন্যানো টেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির উন্নয়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সোপান। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগে ডিসরাপটিং ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগে লাগসই পরিকল্পনা প্রয়োজন। করোনা মহামারি ইতোমধ্যে ডিজিটাল হওয়ার সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিশ্বকে উপলব্ধি করিয়েছে।

মন্ত্রী আজ অন-লাইনে আইটিইউ রিজিওনাল ডেভলপমেন্ট ফোরাম ফর এশিয়া- প্যাসিফিক রিজন-২০২০ লিডারশিপ ডায়ালগে ডিজিটাল বিকাশ এবং এসডিজির দিকে অগ্রগতি অর্জনে ক্রস-সেক্টরিয়াল সহযোগিতা বিষয়ে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিকে বিশ্বের বহু দেশের জন্য এসডিজি অর্জনের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ২০৩০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যার ৬ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করবে বলে যে ধারনাটি ছিল করোনা তা অনেকটাই পাল্টে দিচ্ছে। এর প্রভাবের কারণে অতিরিক্ত ৭১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকতে পারে। এ দিক থেকে এসডিজি-১ এর অর্জন অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একইভাবে কোভিডজনিত এসডিজি-১৭ পর্যন্ত সবগুলো অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হবে বলে মন্ত্রী পৃথকভাবে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, করোনার বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভাল করবে। কোভিড বিপর্যয়ের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতাই এর বড় প্রমাণ বলে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীসহ মঙ্গোলিয়া, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন। আইটিইউ এর এশিয়া প্যাসিফিক রিজনের আঞ্চলিক পরিচালক অসতকো ওকোডা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।