প্রধান মেনু

করহার হ্রাস ও ন্যূনতম করসীমা বৃ‌দ্ধিকরণ মুজিববর্ষের উপহার —অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) : আয়কর অনুবিভাগের ২০২০-২১ অর্থ বছেরর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর খাত হতে রাজস্ব যোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও যুগোপযোগী একটি কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বিজনেস প্রসেস অটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সামগ্রিক অটোমেশনের আওতায় আনয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে করের আওতা সম্প্রসারণ (জরিপ, থার্ড পার্টির ডেটাবেইজ ব্যবহার করা), করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রিটার্ন ফর্ম সহজ করে একপাতার রিটার্ন ফর্ম তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে। একবারের বেশি কোন ব্যক্তিকে টিন নাম্বার দেওয়া হবে না।  এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কর হার হ্রাস করা হয়েছে।

আজ ২০২০-২০২১ অর্থ বছেরর রাজস্ব আদায়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, রাজস্ব যোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে সকল কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে Personal motor vehicle এর AIT (Advance Income Tax) বৃদ্ধি করা হয়েছে , ভূয়া টিআইএন ও কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএ কে ই-টিআইএন যাচাইয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আয়কর বিভাগের ৬৫% রাজস্বই আদায় হয় উৎসে কর হতে। উৎসে কর আদায়ে যথাযথ মনিটরিং ও উৎসে কর্তনে কর ফাঁকি রোধকল্পে টাস্কফোর্স গঠন, ই- টিডিএস (Tax Deducted at Source) সিস্টেম তৈরির উদ্যোগসহ Innovative কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বিদেশি নাগিরকেদর কর ফাঁকি রোধে ডেটাবেইজ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত গাড়ির বিশেষ ধরনের নম্বর প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে  বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।