প্রধান মেনু

কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত ও অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রম কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দেশব্যাপী উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

চিকিৎসাসেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও প্রগতিশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার ও সুসংহত করতে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের আওতায় দেশব্যাপী ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পুষ্টিসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদান, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নেও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে জাতিসংঘে রেজুলেশন আকারে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের জন্য গর্বের এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কমিউনিটি ক্লিনিক সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা যথাযথ ও কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপসহ সংশিষ্ট সকলকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক দেশব্যাপী স্বাস্থ্য-পরিষেবা কাঠামো ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যুগান্তকারী অগ্রগতির প্রধান চালিকাশক্তি হয় উঠুক-এ প্রত্যাশা করি।

আমি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”