প্রধান মেনু

কক্সবাজারকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে — যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, তাই এটি হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পর্যটন নগরী। কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে এবং  সমুদ্র রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে হবে। তবেই সমুদ্রের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং আমরা পর্যটনবান্ধব নিরাপদ ও নির্মল সমুদ্রের কক্সবাজার নতুন প্রজন্মকে উপহার দিতে পারব। প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জাতীয় ঘুড়ি ফেডারেশন আয়োজিত ‘চাই নির্মল সৈকত ও সাগরের কক্সবাজার’ র্শীষক  সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয় অর্জিত হয়েছে।

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল লাভ করেছি, যা মূল ভূ-খন্ডের প্রায় ৮০.৫১ শতাংশ। তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ বা ব্লু-ইকোনমি বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। বর্তমান সরকার ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্রসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম নিয়ামুল নাসের। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মৃধা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আশরাফ হোসেন এতে বক্তৃতা করেন।