প্রধান মেনু

ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা হচ্ছে আগামী নির্বাচন বানচালের ৭ চক্রান্ত টঙ্গীতে ওবায়দুল কাদের

মোঃ শাহজালাল দেওয়ান, টঙ্গী থেকে ঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন,
ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা হচ্ছে আগামী নির্বাচন বানচালের ৭ চক্রান্ত। অশুভ উদ্দেশ্যে নিয়ে শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই দেশ বিরোধী নেতৃত্বদের নিয়ে এই ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ এবং বাংলার জনগণ তাদের এই অশুভ উদ্দেশ্যেকে অচিরেই নস্যাত করে দিবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কোন বিকল্প নেই। ১/১১ এর কুশিলবরা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্ব জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপির নদীর জোয়ার শেষ হয়ে গেছে, ঐক্য ফ্রন্টেরও জোয়ারও আসবে না, ঢেউ ও আসবে না। আর আন্দোলনও করতে পারবে না।

বিএনপি এখন একটি ভুয়া দলে পরিণত হয়েছে। জনাব ওবায়দুল কাদের বুধবার দুপুরে টঙ্গীর সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান। সঞ্চালয়নায় ছিলেন গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, একে এম এনামুল হক শামীম, মতিউর রহমান মতি, ইকবাল হোসেন সবুজ, সেলিনা ইউনুস, ওয়াজউদ্দিন মিয়া, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরন, আশরাফ, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, কাজী ইলিয়াস আহমেদ, নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাদেক আলী, নূরুল ইসলাম নূরু, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন, কাইয়ুম সরকার, বদরুল আলম পাশা, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, কাজী মঞ্জুর, রেজাউল করিম, মেহেদী হাসান কানন মোল্লা প্রমুখ।

আওয়ামীলীগের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন নষ্ট রাজনীতির হাতে হাত মিলিয়েছেন সাথে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন গংরাও যোগ দিয়েছেন তাদের সাথে। তারা যতই ঐক্য করুক না কেন, আওয়ামীলীগ প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে এগিয়ে আছে। বিএনপির নেতানেত্রীরা ঘুম থেকে উঠেন সকাল ১১টায় আর আওয়ামীলীগের শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীরা উঠেন সেই ভোর ৫টায়। তারা সবাই ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ পড়ে কোরআন তেলোয়াত করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। যেহেতু বিএনপিসহ সবাই ৬ ঘন্টা পিছিয়ে আছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের রেজাল্টেও বিএনপি ৬ঘন্টা পিছিয়ে থাকবে।

আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের শেখ হাসিনার নৌকা জয়ী হবে। তিনি নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সব নেতাকর্মীরাই চাইতে পারবেন। কিন্তু প্রতি আসনে মনোনয়ন পাবেন মাত্র একজনই। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তাকেই মেনে নিতে হবে। বিদ্রোহ করলে এবার আর কারো ক্ষমা নেই। বিদ্রোহ করলেই সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার। বহিষ্কারের জন্য এবার অপেক্ষা করা হবে না। বিদ্রোহ যে করবে সেই বহিষ্কার।

তিনি আরো বলেন, আজ ১/১১ এর কুশিলবরা জাতীয় নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ২১ আগস্ট, ১৫ আগস্টের খুনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী মানিলন্ডারিং ২১ আগস্ট যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এর সঙ্গে এরা হাত মিলিয়েছে। এদের নেতা হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। যিনি নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক বিএনপির সাথে হাত মিলিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার ম্ধসঢ়;ঈনুল হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারী মাইনা-টু- ফরমুলার সাথে ছিলেন। নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে হটাতে হবে এই ষড়যন্ত্রই তার মূল উদ্দেশ্যে। তাকে ঐক্য ফ্রন্টের নেতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে অশুভোন বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য।