প্রধান মেনু

এমডিজির সফল বাস্তবায়নই এসডিজির ভিত্তিমূল -স্বাস্থ্যসেবা সচিব

ঢাকা, ৩১ আশ্বিন ১৬ অক্টোবর : স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এমডিজির সফল বাস্তবায়নেই এসডিজির ভিত্তিমূল। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি ও সঠিক নেতৃত্বের কারণে এমডিজি-র অনেক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। ১ বছরের কম বয়সী ও ৫ বছরের কমবয়সী শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, টিকাদানের হার বা কাভারেজ বৃদ্ধি, মাতৃ-মৃত্যু হার হ্রাস এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস ইত্যাদি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অর্জিত হয়েছে।

এ সাফল্যের পিছনে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের সকল অংশীজনদেরও অবদান রয়েছে বলে সচিব উল্লেখ করেন। আজ রাজধানীর আজিমপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিপোর্ট অডিটরিয়াম ভবনে ‘প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (SDG) অর্জনে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা জানান, এসডিজি-র ১৭টি Goal-ই ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সন্নিবেশ করা হয়েছে- যার মধ্যে ১৪টি Goal পরিকল্পনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত (Thematically fully aligned) এবং ৩টি Goal (Goal-14, 16 ও 17) পরিকল্পনার সাথে আংশিকভাবে সম্পর্কিত।

তাই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন এসডিজি বাস্তবায়ন ও এর লক্ষ্য বাউদ্দেশ্য অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখবে। সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (APA) সাথেও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রার সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৯৮ সাল থেকে সেক্টর ওয়াইড কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ৩টি সেক্টর ওয়াইড কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে এবং বর্তমানে ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি চলমান যার মেয়াদ শেষ হবে জুন ২০২২ সালে।

৪র্থ সেক্টর কর্মসূচিতে এসডিজির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লক্ষ্যমাত্রা সন্নিবেশ করা হয়েছে এবং এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে । অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু বক্তব্য রাখেন।