‘এমএসএমই দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৭ জুন ‘এমএসএমই দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৭ সাল হতে ‘এমএসএমই দিবস’ পালন করে আসছে। প্রতিবছরের ন্যায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউণ্ডেশন (এসএমই ফাউণ্ডেশন) মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘এমএসএমই দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ এসএমই-উদ্যোক্তাদের আমি শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির জন্য দেশে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই-শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশেও এসএমই-খাত এসডিজি এবং রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে অবদান রেখে চলেছে। এর ফলে দেশে শিল্পায়ন, বিশেষ করে এসএমই-খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকারের ব্যবসায়বান্ধব নীতির কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পবিকাশের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে যুবসমাজকে দক্ষজনশক্তিতে রূপান্তর করে তাদের শ্রমবাজারে নিয়োজিত করতে এসএমই-খাত অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এছাড়া গ্রাম-গঞ্জে এসএমই-শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের এসএমই-খাতে এখন মানসম্পন্ন কৃষিপ্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, পোশাকসামগ্রী, হাল্কা-যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন গৃহস্থালী পণ্য ও জুয়েলারি পণ্য তৈরি করা হয়।
সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্পপুঁজির এসএমই-উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসায়বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই-উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ-বৃদ্ধিকরণে এসএমই-খাত বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ইনশাআল্লাহ।
আমি ‘এমএসএমই দিবস ২০২১’-এর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”