নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ‘কাজী মাহবুবউল্লাহ  পুরস্কার’ পাচ্ছেন  চার বিশিষ্ট ব্যাক্তি। গত ২৬ নভেম্বর বেগম জেবুন্নেচ্ছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের সভায় এই সিধান্ত নেওয়া হয়। মুহাম্মদ নুরুল হুদা সাহিত্য (কবিতা) মুহাম্মদ নুরুল হুদা (১৯৪৯) সত্তর দশকের একজন বাংলাদেশী  প্রথিতযশা কবি, কথাসাহিত্যিক, মননশীল লেখক এবং অনুবাদক।তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। জন্মজাতি,সমুদ্রকন্যা, সাত ভাই চম্পা, শুক্লা শাকুন্তালা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।বাংলা সাহিত্যে অসমান্য অবদানের স্বীকৃতি-স্বরুপ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আবদুস শাকুর শাহ শিল্প ও সংস্কৃতি (চারুকলা শিল্প) আবদুস শাকুর শাহ একজন সুনামধন্য চিএ শিল্পী, তিনি তার ক্যানভাসে আমাদের লোক ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার  মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।

তাঁর  ফ্রেমে তুলে এনেছেন মৈমনসিংহ গীতিকার চরিএ মহুয়া, মলুয়া, নদের চাঁদ, চন্দ্রাবথীর আখ্যান।২৩ টি একক চিএপ্রদর্শনী ছাড়াও বহু দলবদ্ব প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেছেন। চারুকলা শিল্পে অসমান্য অবদানের স্বীকৃতি-স্বরুপ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। মিতা হক শিল্প ও সংস্কৃতি (সঙ্গীত শিল্পী)    মিতা হক একজন বিশিষ্ট  রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও শিক্ষক। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদে সভাপ্রতি। আমাদের সঙ্গীতের সুরের আকাশের উজ্জলতম নক্ষএ মিতা হক বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাবুক্ত শিল্পী। তার একক ভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি আ্যালব্ম রয়েছে। বাংলাদেশে রবীন্দ্র সংগীত চর্চা ও বিকাশে অসমান্য অবদানের স্বীকৃতি-স্বরুপ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডাঃ এ কে আজাদ   আজীবন (সম্মাননা)অধ্যাপক ডাঃ এ কে আজাদ বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক, সমাজসেবক। ১৯৭২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-এ গবেষণা  করেন এবং সেখানে তিনি “ ইনফরমেটরি ভল ডিজিজেস” নিয়ে কাজ করেন। যে ওষুধটি আবিষ্কার করেন সেটির নাম- 5, asa Biased Drug” ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্ত পড়ার চিকিৎসার এটি মুল ওষুধ। সেখান থেকে তিনি অ্যাসাকল, ম্যাসাকল উল্লেখযোগ্য ওষুধ আবিষ্কার করেন। তিনি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালের সভাপতি। চিকিৎসা ক্ষেএ ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি-স্বরুপ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ক্রেষ্ট, সন্দ ও এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।