এনপিও এবং বিসিআই ও ডিডব্লিওসিসিআই আই এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট): জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিসহ দেশের সামগ্রিক শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) ও ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিডব্লিওসিসিআই) যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ লক্ষ্যে এনপিও’র সাথে বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকা উইমেন চেম্বার অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে দুইটি পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিও’র পক্ষে পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার এবং বিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রীতি চক্রবর্তী এবং ঢাকা উইমেন চেম্বারের পক্ষে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজ ফারহানা আহমেদ স্বাক্ষর করেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিসিআই ও ডিডব্লিওসিসিআই প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বিভিন্ন শিল্পখাতে নিযুক্ত জনশক্তির দক্ষতা বাড়াতে এনপিও’র সাথে বিসিআই ও ঢাকা উইমেন চেম্বার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।
এছাড়া এ লক্ষ্যে আরো করণীয় নির্ধারণে যৌথভাবে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করবে। সমঝোতা স্মারকে আরো বলা হয়, এনপিও’র সাথে উভয় প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর যৌথভাবে ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করবে।এনপিও প্রতিবছর ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদানের বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে বিসিআই ও ডিডব্লিওসিসিআই’র কার্যালয়ে প্রেরণ করবে।সে অনুযায়ী সংগঠন দু’টি সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত এবং আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পসচিব বলেন, শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে চতুর্থ বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।এ ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যে পদ্ধতি ও ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে, সেটি অনুসরণ করতে হবে।সর্বশেষ প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে হবে।এ সময় প্রশিক্ষণকে গতানুগতিক না রেখে যাতে জনশক্তির দক্ষতা প্রকৃত অর্থে বৃদ্ধি পায় সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সচিব। বিসিআই’র পরিচালক দেলোয়ার হোসেন রাজা ও মোঃ শহীদ আলম ও ঢাকা উইমেন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজ ফারহানা আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।