এডিপিসি ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বিতীয় সভায় এর কৌশলপত্র ২০৩০ উপস্থাপন

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) : এডিপিসি (Asian Disaster Preparedness Center) ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বিতীয় বোর্ড অভ্ ট্রাস্টি’র সভা সম্প্রতি অনলাইনে বোর্ড অভ্ ট্রাস্টি’র চেয়ারম্যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ এর বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট চূড়ান্ত করা হয় এবং এডিপিসি’র কৌশলপত্র ২০৩০ উপস্থাপন করা হয়। কৌশলপত্র ২০৩০ বাস্তবায়নে আগামী এক বছর নেতৃত্ব দিবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন।
দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে সাতটি বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিষয়সমূহ হচ্ছে স্থানীয়করণ, উদ্ভাবন, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ, সহনশীলতা সৃষ্টি, মানবিক উন্নয়নের যোগসূত্র স্থাপন, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং ঝুঁকি হ্রাস ও সাড়াদানে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা। সে প্রেক্ষিতে ২০৩০ সালকে সামনে রেখে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হবে তার অন্যতম হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত; নগরায়ন ও বিপদাপন্নতা; পরিবেশগত বিপর্যয়; বন্যা ও খরা; দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা; দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সহনশীলতার লক্ষ্যে পূর্বাভাসভিত্তিক অর্থায়ন, মহামারি প্রস্তুতি ও জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সাইকো-সোশ্যাল সহযোগিতার অন্তর্ভুক্তি।
এডিপিসি একাডেমি বিষয়ক সকল স্তরে বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কোর্স বাস্তবায়ন এবং ডিআরআর বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ায়। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনগণ ও বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সহনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে। এটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এডিপিসি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ এবং সম্প্রদায়কে তাদের ডিআরআর (Disaster risk reduction) ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও সক্ষমতা তৈরিতে বিভিন্ন দুর্যোগসমূহ যেমন বন্যা, ভূমিধস, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, খরা ইত্যাদি মোকাবিলায় প্রতিরোধী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়া, ক্রস-সেক্টরাল প্রজেক্ট/প্রোগ্রামের ক্ষেত্র বিকাশ ও প্রয়োগে কাজ করে।
এডিপিসি সদস্য দেশসমূহ হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রিজিওনাল কনসাল্টেটিভ কমিটিতে রয়েছে আরো ১৬টি দেশঃ আফগানিস্তান, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কাজাখস্তান, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, পাপুয়া-নিউ-গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, পূর্ব তিমুর এবং ভিয়েতনাম। ব্যাংককে এডিপিসি’র সদর দফতর এবং মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় আঞ্চলিক অফিস রয়েছে।
এশিয়ান দুর্যোগ প্রস্তুতি কেন্দ্র (এডিপিসি) একটি স্বায়ত্তশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২০১৮ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম বোর্ড অভ্ ট্রাস্টির সভা ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে। ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যবিধি (আরওপি) অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইসচেয়ার সাধারণত আগত চেয়ারম্যান হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়।