প্রধান মেনু

একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতির আহ্বান

মেক্সিকো, ২৯ মার্চ : গত ২৭ মার্চ মেক্সিকো সিটিতে কোলেহিও ডি মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এশিয়ান অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘Recognizing the 1971 Bangladesh Genocide: An Appeal for Rendering Justice’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিশদ বর্ণনা করে আন্তর্জাতিক মহলে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।

সেন্টার ফর জেন্ডার স্টাডিজের অধ্যাপক ঈশিতা ব্যানার্জি সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক রবার্তো গার্সিয়া। এসময় সেন্টার ফর এশিয়ান অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের পরিচালক হোসে আন্তোনিও সেরভেরাসহ অন্যান্য সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার লক্ষ লক্ষ নিরীহ বাঙালি বেসামরিক নাগরিকদের স্মরণে বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকো সিটিতে গণহত্যা দিবস পালন করে।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন। দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে গণহত্যায় নিহত সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেইসাথে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে নিহতদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রদানের আহ্বান জানান।

এদিকে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় কোলেহিও ডি মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের  মর্যাদাপূর্ণ ‘দানিয়েল কসিও ভিয়েগাস  লাইব্রেরি’-তে দূতাবাস দুই সপ্তাহ-ব্যাপি বাংলাদেশি বই ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর  এনা কোভাররুবিয়াস, লাইব্রেরির পরিচালক মাইকেলা সাভেজ এবং সেন্টার ফর এশিয়ান ও আফ্রিকান স্টাডিজের পরিচালক হোসে আন্তানিও সেরভেরা। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে মেক্সিকোর শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশ বিষয়ক কয়েকটি বই উপহার দেয়, যা  তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।