একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি —স্পিকার

ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে এশিয়া, বাংলাদেশও এ যাত্রায় সহযাত্রী থাকবে। আজ ঢাকার বসুন্ধরায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ১৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতাকালে স্পিকার এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।
স্পিকার বলেন, জ্ঞাননির্ভর এ বিশ্বে মেধাচর্চার বিকল্প নেই। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতের নেতাই কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে জ্ঞানচর্চায় নিমগ্ন হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সমাজ থেকে দারিদ্র্য ও অসমতা দূর করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন কাউকে পেছনে ফেলে রাখা উচিত নয়। সকলে মিলে কাজে আত্মনিয়োগ করলে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে আজ পুরো বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বিশ্ব পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, জিডিপিসহ সকল অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইইউবি এর ১ হাজার ১১৯ জন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীদের উদ্দেশ্যে স্পিকার বলেন, সারাদেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এজন্য সবাই মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়ে সুনামের সাথে দেশবিদেশে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জ্ঞাননির্ভর শিক্ষিত জাতি বিনির্মাণেও এ বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে মযাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি গ্রাজুয়েট তরুণদের জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।