এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের ৮৫ শতাংশই নন ভ্যাক্সিনেটেড ব্যক্তি — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ মাঘ (২৫ জানুয়ারি) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে দেশে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৮৫ শতাংশই নন ভ্যাক্সিনেটেড মানুষ। এখন পর্যন্ত দেশের ১৪ কোটির মতো মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয়েছে।
আজ অনলাইন জুম প্লাটফর্মে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক বিষয় নিয়ে একটি জরুরি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখনো আমাদের টার্গেট পপুলেশনের আরো ৩ কোটি মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয়নি। এই ৩ কোটি মানুষের অধিকাংশই পরিবহন খাতের, শিল্প কারখানায় কর্মরত সদস্য বা বিভিন্ন দোকান-পাটে কর্মরত কর্মী বাহিনীর সদস্য। এ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। দ্রুতই এই ৩ কোটি নন ভ্যাক্সিনেটেড মানুষদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে এখন ওমিক্রন দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। দেশে সংক্রমণের হার মাত্র ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশ হয়েছে। মৃত্যুহার মাত্র ১ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হয়ে গেছে। অথচ বাণিজ্য মেলায় দেখা যাচ্ছে মানুষ গাদাগাদি করে চলাফেরা করছে। সেখানে অনেকেই মাস্ক পরিধান করছে না। দেশের অন্যান্য জনবহুল স্থানেও একই অবস্থা রয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রথম দুটি ঢেউ দেশের মানুষের সহায়তায় সরকার সফল হয়েছে। এবারও দেশের মানুষের সহায়তা ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব হবে না। আর এ যাত্রায় সফল হতে সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সভায় দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ এভার কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আরিফ ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কতদিন আইসোলেশনে রাখা হবে তা নিয়ে জনমনে সংশয় আছে জানালে মন্ত্রী আইসোলেশন পলিসি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই একটি সমন্বিত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ওমিক্রন নিয়ে আমাদের ভয় পেলে চলবে না। আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা মোকাবিলায় সরকার বিগত দুটি ঢেউ যেভাবে সফল হয়েছে, একইভাবে এবারো ৩য় ঢেউ মোকাবিলা করে সফল হবে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান এমপি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।