উপমহাদেশের প্রথম ভুবন মোহিনী বালিকা বিদ্যালয়টি ১৭০ বছরেও জাতীয়করণ হয়নি

এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা): খুলনার পাইকগাছার রাড়ুলী ভুবন মোহিনী বালিকা বিদ্যালয় ১৭০ বছরেও কবকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয়করণ হয়নি। নারীর শিক্ষা বিস্তারে উপমহাদেশে প্রথম এ বালিকা বিদ্যালয়টি ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি রায়) এর পিতা হরিশ্চন্দ্র রায়। যা তিনি নিজ স্ত্রী ভুবনমোহিনীর নামে প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর ১৮৬১ সালে ২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন স্যার পিসি রায়। উপমহাদেশের প্রথম এই বালিকা বিদ্যালয়টির অবকাঠামো তেমন উন্নয়ন ও জাতীয়করণ না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার ১৭০ বছরেও ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠে একটি বহুতল ভবন (নির্মাণাধীন) ছাড়া দৃশ্যত কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে এই বিদ্যাপীঠে ১৬ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যে কারণে ২০১৯ সাল সহ বিগত ৪ বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে আসছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার বলেন, জাতীয়করণ না হওয়ায় দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। নিজ অর্থে নিজ সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপমহাদেশের প্রথম সময়কার বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ। প্রধান শিক্ষক গৌতম ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করলেও অবকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয়করণের কোন উদ্যোগ নেই।