প্রধান মেনু

উন্নয়নের কথা বলে নদী দখল করা যাবে না —নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল, ২৮ ভাদ্র (১২ সেপ্টেম্বর) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ইকোনমিক জোন বা অন্য কোন উন্নয়নের কথা বলে নদী দখল করা যাবে না। সরকার নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছে। ব্যবসায়িক স্থাপনাকে ঘিরে কেউ নদীর জায়গা দখল করতে চাইলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা-বরিশাল নৌপথের চাঁদপুরস্থ লক্ষ্মীরচর- আলুরবাজার-ঈশানবালা-হিজলা-উলানিয়া-মিয়ারচর নৌপথ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত স্রোত ও পলি জমে যাওয়ার কারণে নদী ভরাট হয়ে বরিশাল রুটের মিয়ারচরেও নৌপথও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল; এখন ভোলার ইলিশা দিয়ে ঘুরে বরিশাল যেতে হচ্ছে। সেই অবস্থায় আলু বাজার থেকে হিজলা হয়ে নৌপথ হয় কিনা সেটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দু’টি সভা হয়েছে। সভায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিভাবে ড্রেজিং করলে নৌ চলাচল করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মিয়ারচর, কালীগঞ্জ ও আলু বাজার এই তিন চ্যানেলের কোন নৌ রুটই বাদ দিচ্ছে না সরকার। মিয়ারচরে যে পথটা আছে তা ড্রেজিং করে চালু করা হবে। পাশাপাশি আলুবাজার চ্যানেলটিও চালু রাখতে রাখা হবে। ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বহুমাত্রিক পথ (লিঙ্ক) রাখা হবে। প্রতিবন্ধকতায় অব্যাহত পথ রাখতে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে।
খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি চলাচল আটদিন বন্ধ ছিলো। কারণ অতিরিক্ত স্রোত ও পলি জমে যাওয়ার কারণে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং পথগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে ‘কে-টাইপ’ (ছোট) ফেরি চলছে।

প্রতিমন্ত্রী পরে হিজলা লঞ্চঘাটে হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য পরিচালনা ও পরিকল্পনা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আবদুল মতিন,পরিচালক বন্দর ও পরিবহন কাজী ওয়াকিল নেওয়াজ, পরিচালক নৌ নিরাপত্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।