প্রধান মেনু

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই—-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি বানচালের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রতিক্রিয়াশীল দেশি-বিদেশি অপশক্তির নির্মম চক্রান্তের ফসল ১৫ আগস্ট।  প্রিয়জন হারানোর  শোককে শক্তিতে পরিণত করে দীর্ঘ ২১ বছরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ অতিক্রম করে সাড়ে উনিশ বছর দেশ পরিচালনা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছেন। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প হতে পারে না।

মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাওয়ে বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মূখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব.)। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী  মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিটিআরসি’র  সচিব মোঃ নুরুল হাফিজ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জ্ঞানভিত্তিক  বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথ নকশা। সমৃদ্ধির ঠিকানায় বাংলাদেশকে পৌছে দিতে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ গ্রহণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনসসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ঝাণ্ডা হাতে সাড়ে ১৯ বছরের শাসনামলে প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণ ব্যর্থ হওয়ার শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের সক্ষমতায় উপনীত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ডিজিটাল কানেক্টিভিটি। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ওপর বিটিআরসি কাজ করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের্  উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে লড়াইটা করছেন এটিও একটি মুক্তিযুদ্ধ। এ  যুদ্ধ বন্দুক দিয়ে নয়,  এ যুদ্ধ মেধা ও দক্ষতার।  বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবেই। আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুখী -সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার  চুড়ান্ত পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য  দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষকে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে যেতে হবে।

এর আগে ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।