প্রধান মেনু

উদ্ধার অভিযান আরো গতিশীল করতে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হবে– নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ), ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে যাত্রী ও পণ‍্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত সজাগ থাকতে হয়। তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা দক্ষতার সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।  আমাদের বিআইডব্লিউটিএর  মাত্র ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে।  এগুলোর মধ‍্যে ৬৪ সালের একটি, ৮৩ সালের একটি। এ দু’টির উদ্ধারক্ষমতা ৫০-৬০ টন। উদ্ধার কার্যক্রম আরো বেশি ত্বরান্বিত করতে  আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সালে ২৫০ টন ওজনের দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করে। সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন‍্য বিআইডব্লিউটিএকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে উদ্ধার কার্যক্রম আরো সমন্বিতভাবে করা যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান আরো গতিশীল করতে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। উদ্ধারকর্মীদের দেশে-বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব‍্যবস্থা করা হবে। উদ্ধারকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশপ্রেম ও মানবতা নিয়ে কাজ করেন। মানুষ তাদেরকে সম্মানের সাথে দেখে। এ ধরনের মহড়ার মধ‍্য দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম আরো বেশি সফলতা পাবে। দুর্ঘটনা চাই না। তারপরও প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত ‘নৌদুর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধার মহড়া কার্যক্রম’ পরিদর্শন ও বার্ষিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম‍্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর কে এম জালাল উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনদিনব‍্যাপী এ মহড়ায় নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরিরা অংশ নেয়।