ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের উদ্যোগে ইস্তাম্বুল ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল, বাংলাদেশের পতাকা ও মানচিত্র এবং বাংলার গ্রাম ও প্রকৃতি এই বিষয়গুলোর ওপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
এরপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটর ফ্রেন্ডশিপ হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম উপস্থিত অতিথিবৃন্দদের নিয়ে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। অতপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি শহিদ শেখ রাসেলের জীবন এবং দিবসটির প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। কনসাল জেনারেল শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডকে বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্গনের নিকৃষ্টতম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। কনসাল জেনারেল উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের সন্তানদের বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি জানা ও লালন করার ওপর গুরূত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আজকের শিশুরা ভবিষ্যতের কাণ্ডারি, তারাই সামনের দিনগুলোতে নেতৃত্ব দিবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ-সাম্যের পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ও আজকের শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শহিদ সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।