ইসলামাবাদে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন

ইসলামাবাদ, ৯ আগস্ট : পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে চ্যান্সারী ভবনে বাণীপাঠ, আলোচনা সভা, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মময় জীবনের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ছায়াসঙ্গী। বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় ছিলেন সজাগ ও দূরদর্শী। তিনি একদিকে যেমনি সংসার সামলিয়েছেন, অন্যদিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, দূরদর্শী, সাহসী ও বুদ্ধিমতী নারী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
হাইকমিশনার বলেন, একজন গৃহিনী হয়েও কিভাবে দক্ষ সংগঠক হিসেবে জাতীয় জীবনে অনবদ্য অবদান রাখা যায় বঙ্গমাতা তারই উজ্জ্বল নিদর্শন। তাঁর আদর্শ যুগে যুগে শুধু বাঙালি নারীদের জন্য নয় সকল বাঙালির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট শহীদ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।