প্রধান মেনু

ইসলামাবাদে আয়োজিত হলো বাংলাদেশ উৎসব

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন): ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন  গত ৩ জুন  অত্যন্ত সাড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী’, ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ এবং ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদ্‌যাপন করেছে। সম্পূর্ণ বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিগণকে সম্ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ। এ উপলক্ষ্যে সমগ্র দূতালয় আলোকমালা, রংবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, ঘুড়ি, ফুল ও ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি লোকপণ্য দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।

পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন’ এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা করেন। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এর বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ, কারাগারের রোজনামচাসহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর বই, আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা করা হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি তাঁকে শুধু বিশ্বের প্রথম সারির নেতৃত্বের কাতারেই অধিষ্ঠিত করেনি, বিশ্ববাসীর চোখে তাঁকে হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে করেছে গৌরবান্বিত।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতালয়ের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এরপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নাচ পরিবেশন করে। এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিগণ সংগীত পরিবেশন করেন।

উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্য, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণসহ প্রায় দুই শতাধিক অতিথি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।