ইউরোপের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদেরকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করুন—বাণিজ্য সচিব
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) : বেলজিয়ামে সফররত বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেড এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এখন পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপের বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়।
এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাজার সম্প্রসারণের জন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব অনেক। বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম গত রবিবার বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেল সে ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদেরকে ইউরোপের বাজারে ‘ট্রেড স্ট্রাটেজি এন্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের আমদানিকারকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশ্ব মনের পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা দিতে হবে। ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ আমদানিকারকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিক, কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।
বাংলাদেশে পুরুষদের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারাও এগিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে নারীদের বিশ্ববাণিজ্যে সফল ভাবে কাজ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন নারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিলে বাণিজ্যের পরিধি বাড়বে। বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরগণসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।