কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাজনধারা এলাকায় মটর বাইক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুগ্রুপে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন মারাত্নক  আহত হয়েছে। আহতদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা (নং-১৫/৮-০৪-১৮)দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন ও তার ভাই ফারুককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে উপজেলার সাজনধারা গ্রামের মৃত মারফত আলীর পুত্র জহিরুল ইসলামের একটি মটর বাইক চুরি হয়। পরে পার্শ্ববতী ঢাকা জেলার ধামরাই বাজার থেকে চোরাই মটর বাইকসহ কালিয়াকৈর উপজেলার সাজনধারা গ্রামের সেলিম ও আমিনুলকে ধামরাই থানা পুলিশ আটক করে। খবর পেয়ে জহিরুল ইসলাম ধামরাই থানা পুলিশকে বৈধ কাগজ পত্র দেখিয়ে তার চোরাই মটর বাইকটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এলাকায় এসে জহিরুল তার মটর বাইক সেলিম ও আমিনুল চুরি করেছে বলে স্থানীয় বলিয়াদী বাজারে প্রচার করে।

এ সময় সেলিম ও আমিনুলের লোকজনের সাথে জহিরুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেলিম ও আমিনুলের লোকজন মটর বাইক এর মালিক জহিরুল ইসলামের উপর চড়াও হয়ে লাঠি-সোটা নিয়ে আক্রমন করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০জন মারাত্বক আহত হয়। সংঘর্ষে আহত কামাল হোসেন (৩০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), আছর উদ্দিন (৪৫), আঃ হামিদ (৪২), মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৫), মোঃ ফজলুল হক (৫৮), মোঃ জালাল উদ্দিন (৫৫), আলী হোসেন (৪০), রুবেল মিয়া (৩৫), হাজেরা আক্তার (৪৫), মোক্তার আলী (৪৬), শামসুল হক (৪৮), মিন্টু মিয়া (৩০), তাহেরা বেগম (৪২) ও মানিক বেপারীকে (৪৮) কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এঘটনায় সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরর পর পুলিশ উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সদস্য জসিম উদ্দিন ও তার ভাই ফারুককে গ্রেফতার করেছে। কালিয়াকৈর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার গাজীপুর কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।