‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের আরো একটি সম্মানজনক ও গৌরবময় অর্জন

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) : জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ‘UNESCO-Bangladesh ‘Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman International Prize on the Creative Economy’ নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
গত ১১ ডিসেম্বর ৫৮ সদস্যবিশিষ্ট ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদের ২১০তম অধিবেশনের সমাপনী প্লেনারিতে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত এ পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সভাপতি Agapito Mba Mokuy এর সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক Audrey Azoulay।
এ পুরস্কারের প্রাইজমানির মূল্যমান হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং প্রতি দুই বছর অন্তর এটি প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় পুরস্কারটি প্রবর্তনে ইউনেস্কো’র সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে কাজ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই প্রথম জাতিসংঘের কোন অঙ্গসংস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল। উল্লেখ্য, ইউনেস্কো অধিক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে এখন পর্যন্ত ২৩টি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তিত হয়েছে। ইউনেস্কো’র অধিক্ষেত্র যেমন শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাকস্বাধীনতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও বাংলাদেশ সরকারের ইউনেস্কো’র প্রতি অঙ্গীকারের কথা বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তনে সম্মতি প্রদান করে ইউনেস্কো। এ পুরস্কার সৃজনশীল অর্থনীতিতে যুব সমাজের উন্নয়নে সংস্কৃতিকর্মী, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেবে। উল্লেখ্য, বৃহত্তর সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু’ পুরস্কার হবে এ সংস্থা কর্তৃক প্রবর্তিত প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
ইউনেস্কোর মত জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থা কর্তৃক প্রবর্তিত এ পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে এবং বিশ্বময় সংস্কৃতি কর্মীদের সৃজনশীল অর্থনীতির বিকাশে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন ও তাঁর অবদানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন। এ পুরস্কার বিশ্বময় বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ও ইমেজ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।