প্রধান মেনু

ইইউ-বাংলাদেশ ষষ্ঠ সভা জিএসপি প্লাস সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রপ্তানি বাজার। এভ্রিথিং বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইইউ-এর দেওয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দশেসমূহে বাংলাদেশ ২২ বলিয়িন ডলাররে পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানরি প্রায় ৫৮ শতাংশ। মন্ত্রী আজ বাণজ্যি মন্ত্রণালয়রে সম্মলেন কক্ষে EU-Bangladesh Business Climate Dialogue এর ৬ষ্ঠ রাউন্ডরে সভায় বাংলাদেশ পক্ষের প্রতিনিধি দলের প্রধানের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। এ সময় বাংলাদেশ আশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ^ বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ^র‌্যাংকিং এ আট ধাপ এগিয়ে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। বাংলাদেশের পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন- সহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রনেসেি সহ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।