আশুলিয়ায় ব্লাকমেইলার ও মাদক সম্রাট সবুজের খুঁটির জোড় কোথায়? পর্ব-১

সাঈম সরকারঃ ঢাকা জেলার ব্যস্ততম ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা আশুলিয়া। এই এলাকায় রয়েছে একাধিক আইন প্রয়োজকারী সংস্থা। যেমন- আশুলিয়া থানা পুলিশ, র্যাব-৪, ডিবি ঢাকা উত্তর, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ ঢাকা-১ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। অত্র এলাকাটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর নাকের ডগায় থাকলেও থেমে নেই নারী দ্বারা ব্লাকমেইলার ও মাদক(ইয়াবা) স¤্রাট সবুজ ওরফে সবুজ খান। আশুলিয়ার বিভিন্ন মহল্লায় তার রয়েছে ফ্লাট বাসা ভাড়ায় ৩৫-৩৫জন যুবতী ও সুন্দরী এক এক বয়সের নষ্ট নারী। আরও রয়েছে মাদক(ইয়াবা) বিক্রেতা বখাটে ১৫-
২০জন যুবকের একটি দল। উপরোক্ত সকল নষ্ট নারীদের কাজ হল দিনের আলোতে ভদ্র পোষাকে টাকা ওয়ালা সম্মানী ব্যবসায়ী ও ভাল পদে চাকুরীজীবি পুরুষদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা এবং মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোনে মধুর মধুর কথা বলে প্রেমের ফাঁদে আকৃষ্ট করা। এক সপ্তাহের মধ্যেই এমন একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে যে ঐ পুরুষটি তাদের প্রেমের ফাঁদে পরে যায় এবং দেখা করতে বাসায় চলে যায়। শুরু হয় বন্ধ ঘরে প্ল্যানিং নাটক।
স্বামী বিদেশে থাকে, একা একা সময় কাটে না, তোমার মত একটি পুরুষ আমার দরকার ইত্যাদি। নগ্নতায় কামনার স্বীকারি করে তোলে পুরুষটিকে। এক পর্যায় নারী পুরুষ দুজনে যখন বিবস্ত্র এমন সময় আড়ালে থাকা সবুজ খান সঙ্গীদ্বয় ডিবি পরিচয়ে এসে দরজায় কড়া নাড়ে, হাতে ইয়া বড় ক্যামেরা। আপত্তিকর নগ্ন অবস্থায় নারী পুরুষ দুজনেরই ছবি তোলে সবুজ ওরফে সবুজ খান। পুরুষ লোকটিকে ভয় দেখানো হয় যে, এখনই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং অশ্লীল ছবি গুলো ইন্টারনেটে ছাড়া হবে। যদি বাঁচতে চাও তাহলে ১ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপন দিতে হবে। বিষয়টি জানালেন জামগড়া এলাকার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ভূইয়াবাড়ী এলকার একজন সম্মানিত ব্যাক্তি। তিনি আরও জানায়, পলাশবাড়ী হাবিব ক্লিনিকের বিপরীতে মধু নামের এক ব্যক্তির বাড়ির নিচ তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদ্বয় জানায় একই কায়দার গত ৩১/১২/২০১৭ইং তারিখে পলাশবাড়ী বটতলা এলাকায় জাকারুল নামের এক ব্যক্তির ফ্লাট বাসায় আটকিয়ে ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় সবুজ খান। সম্মানের ভয়ে থানা পুলিশ কেউ জানাতে পারছিনা।
গত ০২/০১/২০১৮ইং তারিখে সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে তাল তলায় ২য় তলা বাড়ীর নিচ তলা থেকে ১৭ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে তবেই ছেড়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। বাতানটেক, ডেন্ডাবর, ঘোড়াপীর মাঝার, পলাশবাড়ী পশ্চিম পাড়াসহ নিত্য রাতে নেশার আড্ডা খানা বসে। সেখানে সকল প্রকার মাদক সাপলাই দেয় সবুজ খান। কে এই সবুজ খান? উত্তরে বলা চলে ঢাকা উত্তরের ওসি এ.এফ.এম সায়েদ সাহেব আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার দায়িত্ব পালনকালে নারী দ্বারা ব্লাকমেইলার সবুজকে একই ঘটনায় প্রাথমিক শাস্তি দিয়ে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করে এলাকা থেকে বাহির করে দেয়। এই সেই সবুজ খান। কিছুদিন পূর্বে ডেন্ডাবর এলাকায় একটি বাসা থেকে হাতেনাতে ভিক্টিম ও অসৎ নারীদেরসহ যাহাকে আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে জেল খানায় প্রেরণ করেছিল, বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেয়ে আসার পর আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সবুজ খান।
শুধু ব্ল্যাকমেইলারই নয়, ইয়াবার মত মরন নেশারও ডিলার সে। মাদকাশক্তি আসক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরুন বয়সের ছাত্র সমাজসহ সব বয়সের মানুষও। মাদক বিক্রেতা সবুজ খানের নিয়ন্ত্রনাধীণ রয়েছে নারীদের মধ্যেসাথী, সুমি, মমতা, বৃষ্টি, মাধুরী, শাপলা, কেয়াসহ ৩০-৩৫জন অসৎ নারী।রয়েছে আরও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও বিক্রয়ের জন্য জসিম, কামাল হোসেন, চঞ্চল,রুবেলসহ আরও ১৫-২০জন। এলাকাবাসী জানতে চায় এই সবুজ খানের খুটির জোড় কোথায়?
পাঠকগণ জানতে চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়………………………..