আর্জেন্টিনার উৎপাদন ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে টিপু মুন্শির বৈঠক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে দু’দেশ একমত

বাণিজ্যমস্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বাংলাদেশ আর্জেন্টিনার সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। আর্জেন্টিনার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উচ্চ শুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনায় প্রত্যাশা মোতাবেক তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আমদানি শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনলে বা এফটিএ স্বাক্ষর করে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদান করলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
আর্জেন্টিনা সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি গতকাল (২২ আগস্ট) আর্জেন্টিনার উৎপাদন ও শ্রমমন্ত্রী ডান্টে সিকার সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব কথা বলেন। আর্জেন্টিনার উৎপাদন ও শ্রমমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক হ্রাস বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সাথে আগামী মাসে সভা করা হবে। এ সময় উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার খাত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী আর্জেন্টিনার কৃষি, প্রাণী ও মৎস্য পালন বিষয়ক মন্ত্রী লুইস এৎসেভেহারের সাথে বৈঠক করেন।
আর্জেন্টিনার মন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে দু’দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। টিপু মুন্শি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানির জন্য আর্জেন্টিনার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। আর্জেন্টিনা কৃষি, পশুপালন, মৎস্যপালন, ক্রীড়া প্রভৃতি খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোরাসিও রেইসারের সাথে সাক্ষাতের সময় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।
এছাড়া শীঘ্রই ঢাকায় কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিষয়ে আর্জেন্টিনা একটি আঞ্চলিক সেমিনার আয়োজন করার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী আর্জেন্টিনার চেম্বার ফর ট্রেড এন্ড সার্ভিসের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আর্জেন্টিনার সাথে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে তৈরি পোশাক, ঔষধ, পাট, জুতা, প্লাস্টিক সামগ্রী আমদানির জন্য উক্ত চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ করার জন্য চেম্বারেরর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।