আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে ১ অক্টোবর ‘২৮তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘The Journey to Age Equality’ অর্থাৎ ‘বয়সের সমতার পথে যাত্রা’।
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষকে একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। একজন প্রবীণ ব্যক্তির বয়সজনিত নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি তাকে পারিবারিক, সামাজিক ও ক্ষেত্রবিশেষে কর্মস্থলেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রবীণ জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিধান রেখে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন এবং প্রজাতন্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীসহ সকল কর্মচারীর জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার জন্য প্রবীণ বিষয়ক জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী জনহিতৈষী সংগঠনের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল প্রবীণের সুস্বাস্থ্য ও শান্তিময় জীবন কামনা করছি। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন সফল হোক – এ কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।