প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্পোৎসব ঢাকা-২৪ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৬ এপ্রিল ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্পোৎসব ঢাকা-২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ২০২৪ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মত ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্পোৎসব ঢাকা-২৪’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ আয়োজনের জন্য আমি উদ্যোক্তা সংগঠন ঢাকা থিয়েটার ও বৃটিশ কাউন্সিল এবং সহউদ্যোক্তা আইআইডি ও প্রতিবন্ধী নাট্যদল ‘সুন্দরম’-সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

আমি জেনে আনন্দিত যে, এ উৎসবে দেশের ৮টি বিভাগের ৯টি প্রতিবন্ধী নাটক ও ভারতের ১টি অপেরা-মোট ১০টি নাটক মঞ্চায়ন হবে। সঙ্গে থাকবে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ও প্রতিবন্ধী অভিনেতাদের অংশগ্রহণে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, অদম্য শিল্পকলা প্রদর্শনী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নির্মিত পণ্য প্রদর্শনী ও সেমিনার। উৎসবে যোগ দেবেন যুক্তরাজ্য, নেপাল ও ভারতের প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ আয়োজনটির মূল উদ্যোক্তা যে ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’, সে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন আমার প্রাণপ্রিয় ভাই শেখ কামাল। মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’। ‘ঢাকা থিয়েটার’ অবহেলিত প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে দেশের আটটি বিভাগে গড়ে তুলেছে প্রতিবন্ধী নাট্যদল ‘সুন্দরম’।

প্রতিবন্ধীরা সৃষ্টির বৈচিত্র্যেরই একটি অংশ। এতে কারও কোনো হাত নেই। তবুও, সমাজে তারা অবহেলিত। নানাপ্রকার কুসংস্কার আমাদের প্রতিবন্ধীদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া থেকে দূরে রাখে। আমাদের সরকার প্রতিবন্ধীদের দুঃখ-দুর্দশা মোচনে বদ্ধপরিকর।

আমার সরকার দেশের সকল পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে প্রতিবন্ধীবান্ধব রাষ্ট্র বিনির্মাণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশের প্রায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ আনুমানিক ৫০ লাখ মানুষ প্রতিবন্ধী। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছি। দেশের প্রায় ২৯ লাখ দরিদ্র প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে।

বিগত পনেরো বছরে আমাদের সরকারের নানা দূরদর্শী কার্যক্রমের ফলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক রূপান্তর ঘটেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। সমাজে কেউ পিছিয়ে থাকবে না- এ নীতির আলোকে আমরা সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। একদিন প্রতিবন্ধীরাও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আমি আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্পোৎসব, ঢাকা-২৪-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”