প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন , “প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৯’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রাচীনকাল থেকেই জীবিকার সন্ধান, আর্থসামাজিক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে দেশ থেকে দেশান্তরে। তাই মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসনের গুরুত্ব অপরিসীম।

গন্তব্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অভিবাসীরা বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের মাঝে মেলবন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীকে করেছে বৈচিত্র্যময়। বর্তমানে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে বাংলাদেশের এক কোটির অধিক মানুষ অভিবাসী হিসাবে কর্মরত রয়েছে। অভিবাসী কর্মীরা দেশের গর্ব। বিপুল সংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাঁরাও গর্বিত অংশীদার। তাঁদের অবদানের কথা আমি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিযোগিতামূলক এ শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুফল কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। অভিবাসীরা প্রবাসে বাংলাদেশের ভ্রাম্যমান কূটনীতিকের মতো।

তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গন্তব্য দেশের ভাষাজ্ঞান ও সংস্কৃতি জানার পাশাপাশি সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজ দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে। অভিবাসী কর্মীরা যেন দেশে-বিদেশে কোথাও কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদ্যমান শ্রমবাজারসমূহ সুসংহত ও নতুন নতুন শ্রম বাজার অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে – এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।