প্রধান মেনু

আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে– শিল্পসচিব

ঢাকা, ১৮ চৈত্র (১ এপ্রিল) : আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম। তিনি বলেন, মেধা-মনন ও দক্ষতা দিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়ন করা সম্ভব। বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি করতে হবে। এর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা কারিক্যুলাম তৈরি করতে হবে।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে শিল্পসচিব এসব কথা বলেন। এতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাফর উল্লাহ হালকা প্রকৌশল শিল্পখাত বিকাশে প্রণীত সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন।

ভার্চুয়াল সভায় বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসান, বিটাক মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালেয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায়, বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাকসহ শিল্প, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পখাতে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান করতে শিল্পপার্ক স্থাপন, এখাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অল্প খরচে ফান্ড সরবরাহ ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য মেলা এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প নীতি প্রণয়ন সংক্রান্ত সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় জানানো হয়, সম্ভাবনাময় এলাকাসমূহ চিহ্নিত করে বিসিক ইতোমধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির বাস্তবায়নাধীন অন্য শিল্পপার্কেও হালকা প্রকৌশল শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। মুন্সিগঞ্জের বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিল্পপার্কের নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে এবং এ কাজের অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। এছাড়া বিসিক হালকা প্রকৌশল শিল্পপার্ক মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ডিপিপি’র কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সভায় দ্রুত লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার তাগিদ দেয়া হয়।