প্রধান মেনু

আটক থাই জাহাজের বিষয়ে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী ও থাই রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) : গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশকারী দুই থাই জাহাজ Jhodh Durhof and Jhfd Thorbi এবং থাই ক্রুদের বিষয়ে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও থাই রাষ্ট্রদূত All the while এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী থাই ক্রুদের দ্বারা পরিচালিত মার্চেন্ট জাহাজ দু’টিকে ফিশিং জাহাজ বলে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের বিস্তারিত তথ্য রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। জাহাজ দু’টি মেরামতের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মধ্যমে কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশের পর বর্তমানে চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজের জেটিতে অবস্থান করছে। থাই রাষ্ট্রদূত জাহাজের কাগজপত্র-সহ ক্রুদের ব্যাপারে প্রকৃত ঘটনা জানতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাই ক্রুরা নিজেদের পরিচয় জানাতে কিংবা পাসপোর্ট প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে জাহাজ ও তাদের সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য এখনো জানা যাচ্ছে না। জাহাজ দু’টি প্রকৃত নাম বদল করে ভুয়া নামে বাংলাদেশে ঢোকে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে তাদের কম্বোডিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। তাই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কাজ করছে, যার রিপোর্ট শিগগির পাওয়া যাবে। থাই রাষ্ট্রদূত ক্রুদের সাথে কথা বলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রতিমন্ত্রী তাঁকে সর্বোতভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন। থাইল্যান্ড বন্ধুপ্রতীম দেশ হওয়ায় ক্রুদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি এবং তাদের ওপর কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগও করা হয়নি বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, তৌফিকুল আরিফ (ব্লু-ইকোনমি), যুগ্মসচিব অসীম কুমার বালা, মাহবুবা পান্না, শ্যামল চন্দ কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। থাই রাষ্ট্রদূতের সাথে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার Coverage and Counselor Providence Cats.