প্রধান মেনু

আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর ডোমারে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে এটির উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী, মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের পরিচালক মাসুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বক্তব্য দেন।

ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম সানবিমের সঞ্চালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম। এছাড়াও স্থানীয়দের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খায়রুল আলম বাবুল, বিসিক নীলফামারীর উপ-ব্যবস্থাপক হোসনে আরা খাতুন বক্তব্য দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এভাবে না হলে প্রয়োজনে আইন করে তামাক চাষ বন্ধ করা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সারাদেশে অনুমতিহীন যেসব ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে সেসব বন্ধে সরকার কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউকলিপটাস গাছ না লাগানোর সিন্ধান্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষে) সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানো হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য শতকরা ২৫ ভাগ বনভুমি প্রয়োজন। সেটি যাতে ঠিক থাকে বা কোন ভাবে কমে না যায় সেদিকেও কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পৃথিবীর কাছে পরিচিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার কারণেই দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েছে এবং সুফল ভোগ করছেন মানুষ। এক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চল বা দক্ষিনাঞ্চল বলে কোন কথা নেই। আজকে ডোমারের মত স্থানে বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তার সেই চিন্তারই প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রটি স্থাপনের ফলে বাঁশের চাষ, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষ বিষয়ক গবেষণা, বাঁশের মুল্যবান দ্রব্য তৈরি এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ ও প্রান্তিক ব্যবহার কারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। প্রকল্পের আওতায় ৭’শ জন বাঁশচাষীকে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন প্রজাতীর বাঁেশর সমন্বয়ে ৩টি প্রদর্শণী প্লট স্থাপন করা হয়েছে।