প্রধান মেনু

আজ ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস

১৯৭১ সানের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট নামে তিরিশ লক্ষ বাঙ্গালি নিধন করার সবুজ সংকেত দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে যাত্রা করেন সে রাতেই পাকিস্তানী বাহিনী শুরু করে অপারেশন সাচ লাইট নামের মানুষ হত্যা যজ্ঞ, তার পরিকল্পনা মতোই ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করেন যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালীদের পতিরোধ ধংশ করা, ছাত্র ও বুদ্ধি জীবিদের হত্যা করা, সাধারন মানুষকে নিবিচারে হত্যা করা এবং সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদ্যসদের হত্যা করা,
এ হত্যা কান্ডের সংবাদ সারা পৃথিবীতে যাতে পৌছে না যায় সে জন্য ২৫ মার্চ এর আগেই বিদেশী সংবাদীকদের বের করে দেয়া হয়, কিন্তু সাংবাদীক সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুকি নিয়ে ঢাকায় অবস্তান করেন এবং ওয়াশিংটনে পোষ্টের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে এ গন হত্যার সংবাদ জানিয়ে ছিলেন ।
এ হত্যা কান্ডের কেন্দ্র বিন্ধু ছিল ঢাকায়, পুরো দেশ জুরে এ হত্যা কান্ডো চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলো ছিল মুল লক্ষ, জগন্নাথ হলকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়, এতে ৬ থেকে ৭ শত আবাসিক ছাত্র নিহত হয়, পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের চিত্র ভিডিও টেপে ধারন করে পুর্ব পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি (বর্তমান বুয়েট) এর প্রফেসার নূরুল উলা ।মধ্য রাতের আগেই ঢাকা শহড়কে পুরোপুরি ধংস করে দেয়া হয়
২৫ মার্চ রাত ১২ টার পর শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়, গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষনা পত্রে সাক্ষার করেন ঘোষনাটি চট্রগ্রামের ই,পি,আর এর ট্রান্সমিটার থেকে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়, ঘোষনাটি:- এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধিন, আমি বাংলাদেশের মানুষ কে আহবান জানাই আপনারা যেখানে থাকুন,আপনাদের সর্বস্ত দিয়ে দখল দার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্বে শেয পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান,বাংলাদেশের মাটি থেকে শেয পাকিস্তানী সৈন্যটিকে উতখাত করা এবং চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙ্গালিদের উপরে হত্যাযজ্ঞ সারা পৃথিবীকে কাপিয়ে তোলে। এ লক্ষে ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস পালদনের সিদ্বান্ত নেয় বার্তমান সারকার।

(মাহবুবুল কবির হিরু)