প্রধান মেনু

আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ গর্বের দিন। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে সুদীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে বিজয়ী বাংলাদেশের মানুষ মাথা উচু করে দাঁড়ায়।কঠিন আত্মত্যাগ আর অজস্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্ণ হলো আজ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে, (বর্তমানে যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত), পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে নিরলজ্জভাবে মাথানত করে আত্মসমর্পণ করে। দীর্ঘ নয় মাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার কৃষক-শ্রমিক-ছাত্রসহ সর্বস্তরের মানুষ দূর্বার গতিতে রুখে দাঁড়ায় বর্বর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে। রেসকোর্স ময়দানে বীর বাঙালির সামনে মাথা নিচু করে অস্ত্র সমর্পণ করে নিঃসর্থে পরাজয় মেনে নেয় ইয়াহিয়া-নিয়াজীর হানাদারবাহিনীরা। যারা হত্যা করেছে ত্রিশ লাখ মানুষ। কেড়ে নিয়েছে দুই লাখ মা ও বোনের সম্ভ্রম।

স্বাধীনতার পর এবারের বিজয় দিবস পালিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে  (বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে)  ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শোক আর অজস্র রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত জাতি দিবসটি পালন করবে  ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও দুস্থদের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তববক অর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ও পারিবারিকভাবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া করা হবে।