আগামী নির্বাচন হবে স্মার্ট শক্তি বনাম পশ্চাৎপদ শক্তির লড়াই—-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে উন্নয়নের বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ শক্তি বনাম পশ্চাৎপদ বাংলাদেশ শক্তির লড়াই। এই লড়াই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তিরও লড়াই। ২০২১ সালে প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার এই সংগ্রাম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভিযাত্রা : শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন : সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের নিকট প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মানবাধিকার নেত্রী এ্যারোমা দত্ত, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ-এর প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বক্তৃতা করেন। সভা সঞ্চালনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আইটি সেলের সভাপতি শহিদ সন্তান আসিফ মুনীর।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে বাংলাদেশ পরিণত হয় পশ্চাৎপদ একটি রাষ্ট্রে। এ পরিস্থিতিতে ’৯৬ সালে রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে অতীতের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে সামনের দিকে পরিচালিত করেন। কিন্তু ২০০১ সালে সেই অগ্রযাত্রা পুনরায় থমকে দাঁড়ায় এবং ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিভীষিকাময় একটি সময় পার করে। সেই সময়টি যেন বাংলাদেশের আর না আসে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।