আইডিইবি’র ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২২ কার্তিক (৭ নভেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইডিইবি’র (IDEB) ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও গণপ্রকৌশল দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫০ বছরপূর্তি ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষ্যে সর্বস্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
এবারের প্রতিষ্ঠাদিবসের প্রতিপাদ্য ‘নীল অর্থনীতি এনে দেবে সমৃদ্ধি’ নির্ধারণ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। এরই আলোকে বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করায় আমি আইডিইবি’র নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধের উষালগ্নে আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে তাঁর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বহু সদস্য প্রকৌশলীর আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম সামরিক আইন ভঙ্গ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনন্য ভূমিকাপালন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য গৌরবময় ইতিহাস।
আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধু’র শিক্ষাদর্শন বাস্তবায়ন, প্রযুক্তিমনস্ক জাতিগঠনে রাজনীতিতে প্রযুক্তিভাবনা যুক্তকরণ, দেশের নদ-নদীরক্ষা, পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিজমি রক্ষা এবং পরিকল্পিত নগর ও গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশনির্মাণ এবং ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সম্পর্কে আইডিইবি’র সময়োপযোগী আহ্বানসমূহ জনগণকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছে। আইডিইবি’র ৪৯ বছরের দীর্ঘপথপরিক্রমায় এসব প্রযুক্তিনির্ভর দার্শনিক আহ্বান অতীত, বর্তমান, অনাগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি আশা করি, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে স্বস্ব অবস্থান থেকে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আজকের দিনে আমি সকল প্রকৌশলীর প্রতি সেই আহ্বান রাখছি।
আমি আইডিইবি’র ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ ও ‘গণপ্রকৌশলী দিবস ২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”