আইএলও ঘোষণাপত্রে ভবিষ্যৎ কাজের ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা থাকতে হবে -শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কাজের ধরন দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর শততম বার্ষিকীর শ্রম সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে ভবিষ্যতের কাজের ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে গভর্নিং বডির সভায় আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীতে ১০৮ তম শ্রম সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের খসড়া উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘোষণাপত্রে অবশ্যই ভবিষ্যতের কাজের জন্য কী কী দক্ষতার প্রয়োজন হবে এবং কোন পদ্ধতিতে এ দক্ষতা অর্জন করা যাবে তা উল্লেখ থাকতে হবে। এ দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে অদক্ষ শ্রমিক, মহিলা, যুবক এবং অভিবাসী শ্রমিকদের প্রাধান্য দিতে হবে। দক্ষতা অর্জনে এ সকল শ্রমিকদের অত্যাধুনিক এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিষয়ে তাদের মাথায় রাখতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কাজ দিয়ে নিতে হবে। নারী ও পুরুষ অভিবাসী কিভাবে নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসী হতে পারবেন তা এবারের সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে নিশ্চিত করতে হবে।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ঘোষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কর্মসংস্থান এবং শ্রম বাজারে কী ধরণের প্রভাব পড়বে সে বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক সুরক্ষার ঘাটতি দূর করতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে আইএলও -এর ঘোষণাপত্রের আলোচনায় বিষয়টি অন্তভুর্ক্তির আহ্বান জানান।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যেক বছরে ২০ লাখ লোক শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডিজিটাল বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের সংখ্যা কমবে, কর্মস্থল আরো নিরাপদ হবে, শ্রমিকরা ভালো মজুরি পাবে এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, দেশে যে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে এখানে ২০৩০ সালের মধ্যে আরো ১০ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গভর্নিং বডির সভায় প্রতিমন্ত্রী ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব উম্মুল হাছনা, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদসহ মন্ত্রণালয় এবং জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করছেন।