অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেল ১৬টি দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সনদ পেয়েছে দেশীয় ও বহুজাতিক ১৬টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান। টেস্টিং ও ইন্সপেকশনের ক্ষেত্রে বিশ্বমান যথাযথভাবে অনুসরণ করায় এসব প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদ অর্জন করে। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রাপ্ত দেশি ও বিদেশি ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেগা প্রজেক্ট, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও হাইওয়ে নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিডি টেস্টিং ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও বাংলাদেশ মেটেরিয়াল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, বিমান বাংলাদেশের নিজস্ব যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, বিএসটিআই’র ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি, ল্যাব এইডের প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান প্রাণ বেভারেজ ল্যাবরেটরি, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ড্রাস্ট্রিজের নাসডাট ইউটিএস ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি, ইউনাইটেড হসপিটালের প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, পরিদর্শন সংস্থার ব্যুরো ভেরিতাস কনজুমার প্রোডাক্ট সার্ভিসেস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, পরিদর্শন সংস্থার আইটিএস বাংলাদেশ লিমিেিটড, মৎস অধিদফতরের ফিস ইন্সপেকশন অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল (এফআইকিউসি) ঢাকা ল্যাবরেটরি ও এনালাইটিকেল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গুণগত শিল্পায়নে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তাদের প্রচেষ্টায় বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্য সুনামের সাথে টিকে আছে। তিনি পণ্যের গুণগত মনোন্নয়নের প্রয়াস অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বর্তমান সরকার শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব সরকার। টেকসই শিল্পায়ন ও ব্যবসার প্রসারে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদেরকে জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি (খরভবষরহব) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারের আরোপিত কারিগরি ও অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় তিনি খাতভিত্তিক নতুন অ্যাক্রেডিটেশন স্কিম চালু করতে বিএবিকে নির্দেশনা দেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।
এ বাস্তবতায় দেশে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বাজার চাহিদার আলোকে বিএবি’র কর্মকা- সম্প্রসারণ করে গুণগতমানের পণ্য ও সেবা উৎপাদনের সুযোগ বাড়াতে হবে। বিএবিকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, নতুন এসব ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদ অর্জন করায় দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। এর মাধ্যমে সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, শ্রমঘন এসএমইখাতের বিকাশ, ভারী ও মৌলিক শিল্পকেন্দ্রিক বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণখাতের প্রসার, স্থানীয় কাঁচামালনির্ভর ক্লাস্টার ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের মতো লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।