প্রধান মেনু

অশ্রু চোখে সেই ভয়াবহ ২১ শে আগষ্টের কিছু কথা বললেন যুবলীগ জামাল

 অশ্রু চোখে সেই ভয়াবহ ২১ শে আগষ্টের কিছু কথা বললেন যুবলীগ জামাল। মিরপুরে যুবলীগের সাথে ২৭ বসর যাবত দলের কর্মকান্ডের সাথে জরিত আছেন এবং জননেএী শেখ হাসিনার ডাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকেন ও বিএনপি,জামাত জোট সরকারে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হন, শিকার হয়েও আওয়ামী যুবলীগ নিয়ে প্রানপণ দলের সার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়েও সভ্য ভদ্র ও অতি সাধানর ভাবে জিবন যাবপন করছেন এই মহান মানুষটি। রূপনগর থানা দুয়াড়ী পাড়া ইউনিট সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে যুবলীগে আছেন এই সাদা মনের মানুষ মোঃ জামাল হোসেন। 
 
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,,আমি ইউনিটে আছি বলে আমার কোন কষ্ট নেই,,আমি পদের জন্য যুবলীগ করিনা,,আমি একজন বীর মু্ক্তিযোদ্ধার সন্তান,,মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হতে পারলেই আমার জীবন স্বার্থক।
 
আমি ২৭ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়মী যুবলীগের হয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি,,২০০৪ সালে ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার আহত নিহতদের উদ্ধারের কাজে জীবন বাজী রেখে কাজ করেন তিনি,,তিনি বলেন আমি তো পারতাম পালিয়ে আসতে,,আমি তো আসিনি আওয়ামীলীগ এর সন্তানরা কখনো পালাতে শিখেনি জীবন বাজী রেখে দলের সার্থে কাজ করতে তারা পারে যার প্রমান আমি নিজে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
 
যখন গ্রেনেড হামলা হয় তখন তিনি নেএীর ট্রাকমঞ্চ থেকে ১০ গজ দূরে নেতাকর্মীদের সাথে শ্লোগান দিতে থাকেন তিনি,,তিনি আরও  বলেন যখন বোম বাষ্ট হয় তখন আমাদের নেত্রী কোথায়,,নেত্রী কোথায়,, সব নেতা কর্মিদের একটাই কথা মুখে মুখে আমাদের নেত্রী কোথায়! যখন আমরা নেত্রী কে দেখলাম তিনি সুস্থ আছেন,,তখন আমরা একটু নিঃস্বাস ছেড়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখলাম,,নেত্রীকে গাড়ীতে তুলে দিয়ে সবাইকে নিয়ে আসার সময় দেখি যে বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি জনাব বাচ্চু মাঝি,, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে গোড়াগড়ি করছে।
 
আমি ও আমার সহ ভাই বন্ধুদের সহযোগিতায় বাচ্চু মাঝিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাই,,হাসপাতালে গিয়ে দেখি শত শত মানুষ আহত নিহত হাসপালের বারান্দায় শুয়ে আছে,, আওয়ামীলীগ এর অঙ্গসংগঠনের দুর দুরন্ত থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আসা নেতা কর্মিদের,,সে যে কি এক মর্মান্তিক দৃশ্য তা আমি বলে আপনাদের বোঝাতে পারবনা। 
 
মোঃ জামাল হোসেন বলেন,,দল আমাকে কি দিলো বা না দিলো,,কোন নেতা আমাকে মুল্যয়ন করলো কি করলোনা,,পদ দিলো কি দিলো না,, তাতে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই,,আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,,আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ  সভানেত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সৈনিক  হয়েই জীবনের বাকি গুলো দিন কাটাতে চাই। 
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।