প্রধান মেনু

অর্থমন্ত্রী ও এআইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈঠক

ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি): এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সাথে আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ঢাকায় সোনারগাঁ হোটেলে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী ড. উর্জিত প্যাটেলকে বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।

অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ১ দশমিক শূন্য  ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য এআইআইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্ব এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং আমাদের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের আরো বাজেট সমর্থন প্রয়োজন। তিনি Secured Overnight Financing Rate (SOFR) এর বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিবেচনা করে এআইআইবি ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি একটি ক্যাপ চালু করা, স্প্রেড পুনর্নির্ধারণ করা এবং ম্যাচুউরিটির সময়কাল বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, এআইআইবি ও গ্রিন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এবং এসডিজির লিঙ্কড বন্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে।

এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।