অজান্তে মোবাইলের ব্যালেন্স কেটে নিলে বিটিআরসিকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে): গ্রাহকের অজান্তে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ বা ব্যালেন্স কোনো মোবাইল অপারেটর বা কোম্পানি যাতে কেটে না নিতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া তিনি বিটিআরসির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা এবং সকল নাগরিকের তথ্য ও নেটওয়ার্ক সুরক্ষার জন্য নিয়মিত ফাইনান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি এক্সটার্নাল আইটি অডিট নিশ্চিত করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে বিটিআরসিকে এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক বলেন, বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনকে আমরা বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আধুনিক ও ভবিষ্যৎমুখী আইন হিসেবে প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এখানে ২০১০ এর সর্বশেষ সংশোধনীর অনুসারেই বিটিআরসির কর্মপরিধি এবং দায়িত্ব নির্ধারিত থাকবে। আমরা রেগুলেশনের সাথে ইনোভেশনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। উদ্ভাবনী সেবার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা বিটিআরসির আয় বাড়াতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সম্পর্কে গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, আপনাদের অভিযোগ ও পরামর্শগুলো শুনে কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বিটিআরসির রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নে পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে রূপকল্প আমাদের সামনে দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নের জন্য প্রো-পিপল এবং সিটিজেন- সেন্ট্রিক সার্ভিস আমরা বিটিআরসির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই। তিনি বলেন, বিটিআরসির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য। টেলিটককে অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে তাদের সহযোগী হিসেবে এবং বিটিসিএলের অবকাঠামো বেসরকারি খাতের প্রয়োজনে ব্যবহার করাসহ আমরা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। অল্প সম্পদ ব্যবহার করে বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা ইতোমধ্যে টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইন বাস্তবায়ন করেছি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিটিআরসির কমিশনার এবং মহাপরিচালকগণ গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। যারা সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।