প্রধান মেনু

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে — এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অগ্নি দুর্ঘটনায় জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কারও কাম্য নয়। এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন কমিয়ে আনা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দেশে অগ্নিনির্বাপণ ও প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণী সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ কিছু অগ্নি দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা ও পরিবীক্ষণ করা হয় না।

এছাড়া এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যাও অপ্রতুল। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করাও জরুরি। এ লক্ষ্যে দেশের সকল স্তরে অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার, জরুরি বহির্গমন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও ফায়ার ড্রিল এর আয়োজন করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় জলাধার, লেক প্রভৃতি রক্ষা করতে হবে। মানুষ আইন মেনে বিল্ডিং তৈরি করছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে। একইভাবেযাদের ওপর ভবনের নকশা অনুমোদন ও তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয় তাদেরকেও পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

সভায় উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামপ্রস্তাব করেন আমরা ২০টি মডেল বিল্ডিং তৈরি করতে পারি, যা হবে অগ্নি প্রতিরোধক। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথভাবে পালন করে বিল্ডিং তৈরি করলে তিনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেয়াত দেয়া যেতে পারে বলে মতামত দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক ছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি কর্পোরেশনসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।