৭ দিনে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ নদী গর্ভে
সদরপুরে নদী ভাঙ্গনে চর বলাশিয়া গ্রাম বিলীনের পথে সদরপুর (ফরিদপুুর) থেকে মোশাররফ হোসেন ঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙ্গনে ঢেউখালী, চর মানাইড় ইউনিয়নে ও পদ্মার ভাঙ্গনে চরনাছিরপুর গত ৭ দিনে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও ২ হাজার বিঘা ফসলের মাঠ, মূল্যবান গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উক্ত তিনটি ইউনিয়নে বর্তমানে প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বৃহস্পতিবার থেকে জি, আর বালুর বস্তা ফেলানো শুরু করলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধ হচ্ছে না।
জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে অধিক সংক্ষক বালুর বস্তা ও সিসি ব্লক ফেলানোর প্রয়োজন বলে এলাকা বাসির দাবী। সরেজিমনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু থেকে সদরপুরে ব্যাপক এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। পদ্মার ভাঙ্গনে নারিকেল বাড়ীয়া, চর নাছিরপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি ও আড়িয়াল খাঁ ভাঙ্গনে চর মানাইড়, ঢেউখালী ইউনিয়নের চর বলাশিয়াসহ প্রায় ৫০টি সহ শতাদিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । উক্ত এলাকায় বাড়িঘর ও প্রত্যান্ত চর এলাকা হওয়ায় জান মালের তেমন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। কিন্ত আড়িয়াল খাঁ নদের গতিপথ ঘনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়ার ফলে দিনের পর দিন নদীর ভাঙ্গনে জনগনের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
ফরিদপুর -৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, আওয়ামীলীগের প্রিসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ্ধসঢ়; ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা ও স্থায়ী বাঁধ নির্মানের আশ্বাস দেন। নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে সরকারি ভাবে ৫০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। ছবি সংযুক্তঃ সদরপুর (ফরিদপুর)ঃ সদরপুর উপজেলার চর বলাশিয়া গ্রামে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা।