৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামে স্লোগান দেয়া বন্ধ হলো না—-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এটা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, কষ্টদায়ক ও আক্ষেপের বিষয় যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নামে স্লোগান দেয়া বন্ধ হলো না। এটা আজ প্রমাণিত সত্য যে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার পুত্র লন্ডন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়। এ স্বপ্ন তো জাতির পিতা দেখেননি। তিনি ধাপে ধাপে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আত্মত্যাগ, অবর্ণনীয় কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে জাদুঘর আয়োজিত ‘আগস্ট হত্যাকাণ্ড: বর্তমানের দায়’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধর সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে গিয়েও হত্যা করার সাহস পায়নি, কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে হত্যা করল। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর মন্তব্য করেছিলেন যে জাতি তাদের জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, সে জাতিকে বিশ্বাস করা যায় না। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, তারা যেন তাদের সন্তানদের জাতির পিতার হত্যাকারীদের নামে স্লোগান দেয়া থেকে নিবৃত্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনির নামে যেন আর রাজনীতি, হরতাল, অবরোধ করা না হয়। স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন আর কোনদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে এ বিষয়ে তিনি উপস্থিত সবাইকে দীপ্ত শপথ নেয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শিক্ষা অফিসার সাইদ সামসুল করিম।
পরে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অনিমা রায়ের কণ্ঠে শোকের গান পরিবেশিত হয়।