প্রধান মেনু

২০৩০ এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের সহায়ক হিসাবে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে—-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বারানসী, উত্তর প্রদেশ, ভারত, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):  সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ২০৩০ এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের সহায়ক হিসাবে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে যা বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নকে সহজতর ও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  বাংলাদেশ যেকোনো অবস্থায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংস, লুটপাট, জালিয়াতি ও বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও প্রচার নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় নীতি ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য আমাদের জি-২০ সহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশগত স্থায়িত্বের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসীর হোটেল তাজ গাঙ্গেস এর দরবার হলে জি-২০ এর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ৫১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ। আমাদের সংবিধান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে অবাধে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অনুমতি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতির সকল শাখার সুরক্ষা ও প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের অব্যাহত বিকাশ নিশ্চিতকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৃজনশীল অর্থনীতি। তিনি বলেন, আমাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম, সহ-অর্থায়ন, সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্কগুলোর প্রচার-প্রসারে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। তাছাড়া সংগীত, স্থাপত্য, প্রকাশনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো খাতসমূহে দক্ষতা বৃদ্ধি, পেশাদারিকরণ এবং প্রতিভা বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে এবং সংস্কৃতিও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার ও প্রচার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তিসমূহের সাশ্রয়ী মূল্য এবং সকলের নিকট প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি একইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন যিনি আমাদের স্বাধীনতার জন্য মাত্র ২০-২২ বছর বয়সে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া প্রতিমন্ত্রী সফল চন্দ্রাভিযান পরিচালনার জন্য ভারত সরকারকে    অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাগত বক্তৃতা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

সম্মেলনে জি-২০ এর ২০টি সদস্য রাষ্ট্র ও আমন্ত্রিত ৯টি অতিথি রাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রীগণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।